০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

ক্যারিয়ার ইন সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং!

- সংগৃহীত

সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা যার ওপর নির্ভর করে পুরো কোম্পানি এগিয়ে যায়। আমাদের দেশে সেলসম্যানদের একটু কদর কম, তাই বিজনেসও আগায় কম।

সফটওয়্যার মার্কেটের কথাই বলি, সেলসের লোকজনের গুরুত্ব কম, স্যালারি কম, সুযোগ-সুবিধাও কম। ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্ব বেশি দেন, সুযোগ-সুবিধাও বেশি দেন। যেখানে হওয়ার কথা সেলসম্যানদের স্যালারি বেশি বা ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বিগুণ, আমাদের দেশে হয় ওল্টা।

পৃথিবীতে সব কাজই কঠিন। তবে সেলসের কাজটা আরো কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। আজ সেলস এবং মার্কেটিংয়ে সফল হতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রিপস শেয়ার করছি।

মার্কেট রিসার্চ করা
প্রোডাক্ট ও সার্ভিস অনুযায়ী টার্গেট কাস্টমার ও এর মার্কেট নিয়ে রিসার্চ বা গবেষণা করতে হবে। এখানে কাস্টমারের পাশাপাশি প্রতিযোগীকেও গবেষণার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। টার্গেট কাস্টমারদের প্রয়োজন, সুযোগ-সুবিধা ও প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ করতে হবে।

ব্র্যান্ডের স্পষ্ট পজিশনিং
আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলোর সুযোগ-সুবিধাগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে হবে। এখন যুগ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের। তাই প্রতিনিয়ত ব্র্যান্ডিংয়ের মধ্যে থাকতে হবে।

স্ট্র্যাটেজিক কনটেন্ট মার্কেটিং
কনটেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ টুলস। ১০০ শতাংশ হালাল সাবান বলে পুরো মার্কেট গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সবাই জানেন। ভালো ডিজাইনের সাথে অল্প কথায় ভালো কনটেন্ট দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারলে লোকাল মার্কেটে আপনাকে ঠেকায় কে? তাই মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করুন, যা আপনার কাস্টমারদের আকৃষ্ট করে।

ইফেক্টিভ কমিউনিকেশন
কমিউনিকেশন মার্কেটিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কমিউনিকেশন সবাই শুনেছেন, কিন্তু ইফেক্টিভ কমিউনিকেশন বা কার্যকর ভাব-বিনিময় সবাই শুনেননি নিশ্চয়ই। নাপা এক্সটা যেমন নাপা থেকে একটু আপডেটেড, তেমনি আমাদের বর্তমান সময়ে স্থানীয় বাজারে টিকে থাকতে হলে কার্যকর ভাব-বিনিময় শিখতে হবে। কোন কথা কখন, কাকে, কিভাবে বলতে হবে তা জানতে হবে। কাস্টমারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।

নেটওয়ার্কিং ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলা
পণ্য যতই ভালো হোক, সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারলে বিক্রি করা কঠিন হয়ে যায়। যার যত নেটওয়ার্ক বড়, সেলসে সুযোগ তার তত বেশি। দীর্ঘমেয়াদি সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যখন তার আপনার পণ্যটি প্রয়োজন হয়, ঠিক তখন যেন আপনাকেই নক করেন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

সেলস ট্রেনিং ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট
শিক্ষার কোনো বয়স নেই। পৃথিবীতে যেকোনো জিনিস পরে থাকলে তার সার্পনেস বা ধার কমে যায়। স্কিল বা দক্ষতাও এর ব্যতিক্রম নয়। অনার্স, মাস্টার্স, এমবিএ ডিগ্রি থাকলেই যে ভালো করতে পারবেন তা সব সময় ঠিক নয়। তার পাশাপাশি কিছু না কিছু ট্রেনিং নিয়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে সময়ের সাথে সাথে নিজেকে তৈরি করে রাখতে হবে। তাই সেলস টিমকে নিয়মিত ট্রেনিং দিয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে।

ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করা
বিআই বা বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে কোম্পানির সমস্ত ডেটা থেকে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। বিজনেসের বর্তমান অবস্থা কী, আগামীকাল কী করতে হবে? মার্কেটে টিকে থাকতে হলে এই ডেটা অ্যানালিটিক্স বা বিশ্লেষণ ব্যবহার করে মালিকদের অবহিত করতে হবে। সাথে মার্কেটিং কার্যক্রম ও সেলস পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে কোম্পানির উন্নতি করতে হবে।

গ্রাহক পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক সংগ্রহ করা
গ্রাহক আমাদের পণ্য ও সেবা নিয়ে কতটুকু সন্তুষ্ট তার খবর রাখতে হবে। একজন সেলসম্যান ১০০ বার ভালো বলা আর গ্রাহক একবার বলা সমান কথা। তাই কাস্টমার ফিডব্যাক নেয়া বিজনেসের জন্য খুবই জরুরি।

এই বিষয়গুলো মেনে চললে পণ্য বিক্রয় ও বাজারজাতে উন্নতি করা সহজ হবে বলে আমি মনে করি।


আরো সংবাদ



premium cement